এক দফায় শিম সরবরাহ করে বাজারজাত করেছেন। বিক্রি করেছেন প্রায় ৭০ হাজার টাকার শিম।
চলতি মৌসুমে বন্যার কারণে সবজি চাষে কিছুটা বিলম্ব হলেও জমিতে পলি পড়ায় ফলন বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই তিনি আশা করছেন বন্যার ক্ষতি ফলনের মাধ্যমে কিছুটা পুষিয়ে যাবে।
মতির সবজি ক্ষেত-ছবি-বাংলানিউজ
মতি দিনাজপুর সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা রাম সাগর তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ৫ বছর যাবৎ সবজি চাষ করছেন। প্রতি বছরের তুলনায় এবার দুই বিঘা বেশি জমিতে শিম, বেগুন, ফুলকপি ও বাধাকপি চাষ করেছেন।এর আগে একই জমিতে ধান, গম, ভুট্টা চাষ করলে লোকসান গুণতে হয় মতিকে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। এরপর শুরু করেন সবজি চাষ। সবজি চাষের প্রথম মৌসুমেই সব পাওনাদারের টাকা পরিশোধ করেন। পরবর্তী মৌসুম থেকে লাভের টাকা গুণতে শুরু করেছেন।
মতির সবজি ক্ষেত-ছবি-বাংলানিউজ
এ ব্যাপারে মতি বাংলানিউজকে বলেন, সবজি চাষ করে আমার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। বাবার রেখে যাওয়া তিন বিঘা জমির উপর সবজি চাষ শুরু করি। সবজি চাষে লাভবান হয়ে আগের দেনা পরিশোধ করেছি। তিন বিঘা দিয়ে শুরু করলেও অন্যের চার বিঘা জমি চুক্তিতে নিয়ে বর্তমানে মোট সাত বিঘা জমিতে সবজি চাষ করছি। ফুলকপি-বাধাকপি উঠার সঙ্গে সঙ্গে টমেটোর চারা রোপণ করবো। এভাবেই সারা বছর সবজি চাষ করেন মতি।মতি জানান, দশদিন আগে শিমের প্রথম চালানেই খরচ উঠে কিছু লাভও হয়েছে। এখন পরবর্তী চালানের সবটুকুই লাভের অংশ। বাজার দর ঠিক থাকলে অন্য বছরের মতো এই মৌসুমেও সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ হবে। এবারে অন্য বছরের তুলনায় সবজি ক্ষেতে তেমন খরচ হয়নি। রোগ-বালাই দেখা না দিলে কম খরচেই বাজারে সরবরাহ করা যাবে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, মতির সবজি চাষে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে। এখন সবজি ক্ষেতকে রক্ষা করতে সঠিক পরিচর্যায় ব্যস্ত তিনি। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে এবার মতির সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ফলন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
আরআর