ঢাকা, শুক্রবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৫ জুলাই ২০২৫, ২৯ মহররম ১৪৪৭

কৃষি

সবজি চাষ করে সফল দিনাজপুরের মতি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৩৮, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
সবজি চাষ করে সফল দিনাজপুরের মতি  ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত মতি-ছবি-বাংলানিউজ

দিনাজপুর: অগ্রহায়ণের শেষে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত চারপাশ থাকছে কুয়াশায় ঢাকা। এরইমধ্যে গত তিনদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে দেখা মেলেনি সূর্যের। আবহাওয়ার এরকম পরিস্থিতিতেও মতিউর রহমান মতি তার সবজি ক্ষেতে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কুয়াশার হাত থেকে রক্ষা করতে প্রয়োগ করছেন বিভিন্ন বালাইনাশক। 

এক দফায় শিম সরবরাহ করে বাজারজাত করেছেন। বিক্রি করেছেন প্রায় ৭০ হাজার টাকার শিম।

বর্তমানে আলু, বেগুন ও শিম গাছে নতুন করে ফুল ও ফলন দেখা দিয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই দুটি সবজি পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। এরপর বাজারজাত করা হবে। বর্তমানে সবজির বাজার ভালো যাওয়ায় লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।  

চলতি মৌসুমে বন্যার কারণে সবজি চাষে কিছুটা বিলম্ব হলেও জমিতে পলি পড়ায় ফলন বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই তিনি আশা করছেন বন্যার ক্ষতি ফলনের মাধ্যমে কিছুটা পুষিয়ে যাবে।

মতির সবজি ক্ষেত-ছবি-বাংলানিউজ

মতির সবজি ক্ষেত-ছবি-বাংলানিউজ

মতি দিনাজপুর সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা রাম সাগর তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ৫ বছর যাবৎ সবজি চাষ করছেন। প্রতি বছরের তুলনায় এবার দুই বিঘা বেশি জমিতে শিম, বেগুন, ফুলকপি ও বাধাকপি চাষ করেছেন।  

এর আগে একই জমিতে ধান, গম, ভুট্টা চাষ করলে লোকসান গুণতে হয় মতিকে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। এরপর শুরু করেন সবজি চাষ। সবজি চাষের প্রথম মৌসুমেই সব পাওনাদারের টাকা পরিশোধ করেন। পরবর্তী মৌসুম থেকে লাভের টাকা গুণতে শুরু করেছেন।  

মতির সবজি ক্ষেত-ছবি-বাংলানিউজ

মতির সবজি ক্ষেত-ছবি-বাংলানিউজ

এ ব্যাপারে মতি বাংলানিউজকে বলেন, সবজি চাষ করে আমার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। বাবার রেখে যাওয়া তিন বিঘা জমির উপর সবজি চাষ শুরু করি। সবজি চাষে লাভবান হয়ে আগের দেনা পরিশোধ করেছি। তিন বিঘা দিয়ে শুরু করলেও অন্যের চার বিঘা জমি চুক্তিতে নিয়ে বর্তমানে মোট সাত বিঘা জমিতে সবজি চাষ করছি। ফুলকপি-বাধাকপি উঠার সঙ্গে সঙ্গে টমেটোর চারা রোপণ করবো। এভাবেই সারা বছর সবজি চাষ করেন মতি।  

মতি জানান, দশদিন আগে শিমের প্রথম চালানেই খরচ উঠে কিছু লাভও হয়েছে। এখন পরবর্তী চালানের সবটুকুই লাভের অংশ। বাজার দর ঠিক থাকলে অন্য বছরের মতো এই মৌসুমেও সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ হবে। এবারে অন্য বছরের তুলনায় সবজি ক্ষেতে তেমন খরচ হয়নি। রোগ-বালাই দেখা না দিলে কম খরচেই বাজারে সরবরাহ করা যাবে।  

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, মতির সবজি চাষে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে। এখন সবজি ক্ষেতকে রক্ষা করতে সঠিক পরিচর্যায় ব্যস্ত তিনি। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে এবার মতির সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ফলন হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।