মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকার পরিচর্যা হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে। হামলার অভিযোগটি বাংলানিউজের কাছে করেছেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও স্থানীয় নেতা অ্যাডভোকেট কাউসার আহমেদ।

রক্তাক্ত গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: বাংলানিউজ
কাউসার আহমেদ বলেন, চুনকটিয়া এলাকায় প্রচারণা শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে কদমতলী যাচ্ছিলেন গয়েশ্বর। পথে পরিচর্যা হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে গয়েশ্বর রায়সহ ২০-২৫ জন আহত হন। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় একটি দোকানে অনেক সময় অবরুদ্ধ ছিলেন গয়েশ্বর। পরে সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা চলে যায়।আব্দুস সালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, গয়েশ্বরের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। তাকেসহ নেতাকর্মীদের কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: বাংলানিউজ
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বাংলানিউজকে জানান, চুনকুটিয়া এলাকায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের প্রচারণা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি মিছিল মুখোমুখি হয়ে যায়। পরে দুই পক্ষে হাতাহাতি থেকে মারামারি লেগে যায়। তখন দুই পক্ষের লোকজনই আহত হয়। এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।ধানের শীষের প্রচারণায় আহতদের মধ্যে কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুলতান নাসের, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক কাওছার, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাজী মাসুম, বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন পিন্টু, জয়লাল আবেদীন বাবুল, শ্রমিক দল নেতা আমজাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাসেল মাহমুদ, মো. হীরা ও আনোয়ার হোসেন আনুর নাম জানা গেছে।
আর স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে আহত হয়েছেন সংগঠনটির শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি নজরুল ইসলাম। তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং মাথায় ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/