ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ২০ সফর ১৪৪৭

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি

ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২৫, অক্টোবর ১৮, ২০১১
পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি

ঢাকা: পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে রাজনীতিকেই দূষছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। আর তাই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজনীতিমুক্ত করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।



এরই মধ্যে প্রেসিডেন্সি ছাড়া রাজ্যের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট আইন বদলের জন্য অর্ডিন্যান্সে স্বাক্ষর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা পেশ করা হবে। এরপর এই অর্ডিন্যান্স যাবে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য।

রাজ্যপালের অনুমোদন পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির দীর্ঘ ঐতিহ্যের ইতি ঘটবে।

বিধি অনুযায়ী বর্তমানে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সিনেট-সিন্ডিকেট বা কোর্টে নীতি নির্ধারক শিক্ষাকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীরা থাকে। তবে তারা সবাই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও মত দিয়ে থাকেন। যা নিয়ে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে।  

এসব রাজনীতির মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী নিজেদের পছন্দের লোককে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে বসাতেন। আর যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজেদের লোকদের বসানো অসম্ভব ছিলো, সেগুলোতে বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে অচল করে রাখা হতো। ফলে দিনদিন কমে যাছিলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার মান।

তাই এবার ক্ষমতায় এসে সেই অবস্থা বদলাতে চাইছেন মমতা। উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত চান তিনি।

সেই লক্ষ্যে রাজ্যের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে যে অর্ডিন্যান্স আনা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মাসখানেকের মধ্যেই পৃথক অর্ডিন্যান্স আনা হবে। অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে সিনেট, সিন্ডিকেট বা কোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিতে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য থাকতে পারবেন না। এমনকি কোনও ছাত্র, ছাত্রনেতা বা শিক্ষাকর্মী সদস্যও হতে পারবেন না।

এতদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের পছন্দ মতো বিধায়ক পরিচালন সমিতির সদস্য হতেন। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মনোনিত সদস্যও থাকতেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।