কুমিল্লা: দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা সিমেন্টের উদ্যোগে কুমিল্লায় রাজমিস্ত্রি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কুমিল্লা জেলার প্রায় ৭৫ জন রাজমিস্ত্রি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত পণ্যের গুণগত মান, পরিমাপ ও সঠিক প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা হয়।

undefined
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা সিমেন্টের কুমিল্লা ডিভিশনের ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী খান।
এসময় অনেকের মধ্যে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ডিস্ট্রিবিউটর মেসার্স তছলিম এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারি মো. তছলিম হোসেন ও সদর দক্ষিণ উপজেলার ডিস্ট্রিবিউটর মেসার্স এম আলী কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারি হাজী মো. শহীদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
নির্মাণ বিষয়ক সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী মো. শরীফ ও গুণগত মান বিষয়ক সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান।

undefined
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন দাউদকান্দি টেরিটরির সেলস এক্সিকিউটিভ জাকারিয়া ছিদ্দিকী। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে রাজমিস্ত্রিদের একটি করে ছাতা, টি-শার্ট ও সম্মানি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সিমেন্ট শিল্পে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষম আধুনিক কারখানা রয়েছে শুধুমাত্র বসুন্ধরা সিমেন্টের। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বেশি সিমেন্ট (৫.০৫ মিলিয়ন টন) উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে জার্মান প্রযুক্তি ভি আর এম। যা সিমেন্টের সূক্ষতা বৃদ্ধি করে ও স্থাপনাকে দীর্ঘস্থায়ীত্ব দেয়। বসুন্ধরা সিমেন্ট কাঁচামাল থেকে শুরু করে উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারাইজ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।

undefined
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা সিমেন্টের অন্যতম মূল উপাদান স্ল্যাগ এর বিশেষত্ব উপস্থাপন করা হয়। স্ল্যাগ ক্ষতিকর সালফার ও ক্লোরাইড প্রতিরোধক, ফলে বসুন্ধরা সিমেন্ট সালফার ক্লোরাইড রেজিস্টেন্স সিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। দেশের সবচেয়ে আইকনিক প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা সেতু নদী শাসন প্রকল্প, পদ্মা সেতু অ্যাপ্রোচ রোড, মেগা পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের মতো বড় বড় স্থাপনাগুলোতেও ব্যবহার করা হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
এসআই