ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২৭ জুন ২০২৫, ০১ মহররম ১৪৪৭

ফিচার

শিকারি পাখি মেঘহও মাছরাঙা 

রাজীন চৌধুরী, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৪৫, জুলাই ১৬, ২০২৩
শিকারি পাখি মেঘহও মাছরাঙা 

মেঘহও মাছরাঙা বা গুরিয়াল, দুই নামেই পরিচিত এ মাছরাঙা পাখি। এর বৈজ্ঞানিক নাম হ্যালসিয়ন ক্যাপেনসিস।

বিবরণ
পাখিটি আকারে অনেকটা পায়রার সমান। লম্বা লাল রঙের চঞ্চু এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। মাথার রঙ বাদামি, ডানা সবুজ-নীল রঙের। ঘাড় ও শরীরের নিচের অংশের রঙ হলদে বাদামি। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম।

বিস্তার
ভারতবর্ষের শুষ্ক অঞ্চলগুলো বাদ দিয়ে পুরো ভারত ও বাংলাদেশে দেখা যায় এই পাখি।

খাদ্য
মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ও ছোট সরীসৃপকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে মেঘহও মাছরাঙা বা গুরিয়াল। মাঝে মাঝে অন্যান্য ছোট পাখি ও তাদের ডিম খায়।

স্বভাব
একা বা একজোড়া পাখি নদী, ঝিল বা পুকুরের আশপাশে দেখা যায়। টেলিগ্রাফের তার বা অন্য কোনো তারের ওপর শিকারের সন্ধানে বসে থাকে। শিকারের কৌশল অনেকটা ছোট মাছরাঙার মতো। কিন্তু এরা ওপরে উড়ে থেকে ঝাঁপ দিয়ে শিকার করে না। অনেকটা হাসির মতো ‘ক্যা-ক্যা-ক্যা-ক্যা-ক্যা’ করে ডাকে।

বাসস্থান
জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে মেঘহও মাছরাঙা বাসা বানায়। এদের বাসা অন্যান্য মাছরাঙার মতোই। নদীর তীরে বা গাছের গুঁড়িতে গর্ত করে বাসা বানায় ও সেখানেই থাকে। ৪ থেকে ৫টি চকচকে সাদা রঙের ডিম দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
আরসি/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।