ঢাকা, শুক্রবার, ১১ আশ্বিন ১৪৩২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষা ক্যাম্প

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩৮, মার্চ ১২, ২০২০
বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষা ক্যাম্প হিকমাহ আই হসপিটালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষা ক্যাম্পের আয়োজন করে।

ঢাকা: বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস উপলক্ষে হিকমাহ আই হসপিটালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষা ক্যাম্পের আয়োজন করে। পাশাপাশি দিনব্যাপী ৫০ শতাংশ ছাড়ে অন্য সব ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সকাল ৯টায় খিলগাঁওয়ের হিকমাহ আই হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম.হাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধন করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গ্লুকোমা দৃষ্টির এক নীরব ঘাতক।

গ্লুকোমার কারণে দৃষ্টি একবার হারিয়ে ফেললে তা আর কখনো ফিরে আসে না। অধিকাংশ রোগীরা এ রোগের লক্ষণ বুঝতে পারে না। চশমা পরিবর্তনের সময় বা নিয়মিত চোখ পরীক্ষার সময় চিকিৎসকরা গ্লুকোমা নির্ণয় করে থাকেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা যেতে পারে যেমন ঘন ঘন চশমার গ্লাস পরিবর্তন হওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, আলোর চারপাশে ব্যথা অনুভুত হওয়া, ছোট ছোট বাচ্চারা জন্মের পর চোখের কর্ণিয়া ক্রমাগত বড় হয়ে যাওয়া, বা সাদা হয়ে যাওয়া , চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি।

তারা বলেন, শিশু থেকে বয়স্ক যে কারোরই গ্লুকোমা রোগ হতে পারে। পারিবারের কারো গ্লুকোমার ইতিহাস থাকলে, এছাড়াও চোখে আঘাত পাওয়া, ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যা, ডায়াবেটিসের কারণেও গ্লকোমা হতে পারে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, গ্লুকোমা চোখের একটি জটিল রোগ। এতে চোখের স্নায়ু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চোখের দৃষ্টি কমে যায়। একসময় রোগী স্থায়ী অন্ধত্বের দিকে ধাবিত হয়। এটা অনেকটা চোখের স্নায়ুতে ব্লাড প্রেশারের মতো। এর স্বাভাবিক মাত্রা ১০ থেকে ২১। তবে ২১ এর ওপরে উঠলে তা আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলেও অনেক সময় গ্লুকোমার পরীক্ষা করানো হয় না। ফলে পরবর্তীকালে গ্লুকোমার কারণে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে যায়। অনেক সময় চোখের ছানি অপারেশন করলেও গ্লুকোমা পরীক্ষা করে চিকিৎসা নেওয়া হয় না। তাই দেখা যায় ছানি অপারেশনের পরেও অনেকে অন্ধত্ব বরণ করে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৮০ লক্ষাধিক মানুষ গ্লুকোমার কারণে স্থায়ী অন্ধত্বের শিকার হয়েছে। এদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়ার। গ্লুকোমা সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে বিরাট জনগোষ্ঠী অপরিবর্তনযোগ্য অন্ধত্বের শিকার হন যা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করতে পারলে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া খুব জরুরি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুগদা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলাম, হিকমাহ আই হসপিটালের সহকারী ব্যবস্থাপক শিশির কাউছার প্রমুখ।

এছাড়াও শোভযাত্রা, সমাবেশ ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পে আরও উপস্থিত ছিলেন হিকমাহ আই হসপিটালের কনসালন্ট্যান্ট, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্সরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
পিএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।