রাতে পৌঁছে একবার শহরের অলিগলিতে ঢুঁ মারা। সবার আগে এ পারে দাঁড়িয়ে সিঙ্গাপুর দেখার সাধ।

হীরায় মোড়া মুকুট। ছবি: বাংলানিউজ
জমজমাট এ বিনোদন এলাকা থেকে একটু এগিয়ে এবার চোখ ধাঁধিয়ে দিলো বিশাল এক রাজমুকুট। পাশে বসা প্রবাসী বাঙালি ব্যবসায়ী এসএম আহমেদ জানালেন এটা হীরায় মোড়া! গাড়ি থামিয়ে তাই নেমে পড়া। জালান স্কুডি বা স্কুডি সড়ক নামেও জায়গাটির পরিচিতি রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় পরিচয় এই মুকুটের নিচ দিয়ে যেতে হয় সুলতানের বাড়ি। ১২০ একরের বেশি জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত বাসভবনটির অফিসিয়াল নাম ইস্তানা বুকিত সেরেইন। কেন্দ্রীয় শাসনের পাশাপাশি এখানে স্থানীয় সরকারের কিছু দায়িত্ব রয়েছে সুলতানের উপর। ১৮৮৬ সালে সুলতান আবু বকর রাজ মুকুট পরার পর এখন চলছে পঞ্চম সুলতানের শাসন। বর্তমান সুলতান ইব্রাহিম বিন আল মরহাম ইস্কান্দর। তিনিই থাকেন এখানে।
হীরায় মোড়া মুকুট। ছবি: বাংলানিউজ
বাড়ির মূল ফটকের সামনে ২০১৫ সালে সুলতানের অভিষেক অনুষ্ঠানের দিন বসানো হয় এ রাজ মুকুটের রেপ্লিকা। যদিও স্থানীয় এবং দর্শনার্থীদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে রেপ্লিকা হলেও এতে রয়েছে কয়েকশ হীরা, পান্না। আদতে সেটা নয়। তবে রাতের আলোয় এর জেল্লা দেখলে যে কেউ হার মানবে মিথ্যার কাছে। কারণ সত্যিকারের হীরার মতোই জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল এ মুকুট।
হীরায় মোড়া মুকুট। ছবি: বাংলানিউজ
রাজার মূল মুকুটে রয়েছে সোনা, রুপা, ২ হাজার ৭শ ৪০ পিস হীরা, তিনটি লাল রুবিসহ বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু। মুকুটের একেবারে উপরে রয়েছে ডায়মন্ড মোড়ানো তারকা, ৩৭ রুবি পাথরে লেখা আল্লাহ এবং ৫৮ টি পাথরে লেখা মোহাম্মদ। মোট ওজন ১.৬ কেজি।ব্রিটিশ রাজা এডওয়ার্ডের মুকুটের আদলে এটা লন্ডনের জুয়েলার বেনসন তৈরি করেন। সে আদলে দু বছর আগে তৈরি এ নীলাভ মুকুট এখন জোহর বারুর পর্যটন আকর্ষণের প্রাণ। সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা হয় এখানে। আলোর কারুকাজে আঁধার নামলেই এটা হয়ে ওঠে মোহনীয়। বাড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়। একেবারে নিচে এসে দাঁড়ালে দেখা যায় এর আরেক রূপ। নীলকে বেজ ধরে পুরো কমপ্লেক্সের লাইটিং করা।
হীরায় মোড়া মুকুট। ছবি: বাংলানিউজ
সুলতানের রয়েছে আবার নিজস্ব সেনাবাহিনী। তারাই দায়িত্বে এর নিরাপত্তার। জোহর বারু এলে এই রাজমুকুট না দেখে ফিরলে সত্যি মিস করবেন শহরের সবচেয়ে সুন্দর নিদর্শনটি।
...
আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এএ