সম্প্রতি এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের ম্যাসাই মারা ন্যাশনাল রিজার্ভে। এ ঘটনার ছবি তুলেছেন কেনিয়ার বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী শাজমিন হুসেইন ব্যাংক।
শাজমিন বলেন, নভেম্বরের একদিন। দুপুর ১টায় মারা নদীর পাড়ে বসেছিলাম আমরা কয়েকজন। কয়েকটি জেব্রা ঘুরে বেড়াচ্ছিল নদীতীরের আশপাশে, যেন তারা নদী পার হতে চায়। পরে ওরা নদীর পানি খাওয়া শুরু করলো।
‘তখন দেখি, খুব ধীরে এক কুমির একটি জেব্রার দিকে এগিয়ে আসছে। জেব্রারা খুব চতুর প্রাণী। মারা নদী এরা প্রায়ই পারি দেয়। তাই এ ব্যাপারগুলো খেয়াল করে তারা। ’
‘কিন্তু এই জেব্রাটা গলা ডুবিয়ে পানি খাচ্ছে, অন্য কোনোদিকে মনোযোগ নেই। পরে কিছু সময় পরিবেশ খুব নীরব ছিল। তারপর হঠাৎ প্রবল শব্দে নদীর জল ছিটে পড়ে চারপাশে। ’
‘তারপর দেখি, কুমিরটা ওই জেব্রাকে কামড় দিয়ে ধরেছে। বিশালাকার কুমিরের সঙ্গে জেব্রাটার পেরে ওঠার কথা না। তবু সে বাঁচার জন্য প্রাণপণে লড়াই করলো। জীবনের শেষ বেলায় আমাদের একটি শিক্ষা দিয়ে গেলো সে: কখনোই হাল ছাড়া উচিৎ না, জীবনে সবসময় লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। অর্ধমৃত অবস্থায় পানি থেকে ডাঙায় উঠে এলো সে। তারপরই উল্টে পড়ে গেলো। ’
নদীর জল থেকে ডাঙায় ওঠার প্রাণপণ চেষ্টা করছে জেব্রা। ছবি: সংগৃহীত
কুমিরের মুখে জেব্রার ভুড়ির ছিন্নভিন্ন অংশ। ছবি: সংগৃহীত।
ঘটনাটি যতটা ভয়ঙ্কর, ততটাই চমকপ্রদ। ছবিগুলো প্রকাশ করবেন কি-না, এনিয়ে দ্বিধায় ছিলেন শাজমিন। প্রকৃতিতে প্রাণীদের মধ্যে খাদ্য-খাদকের নিত্য লড়াইয়ের এক সাক্ষী এসব ছবি, তাই ছবিগুলো প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাল ছাড়েনি জেব্রা। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এফএম