চিত্রনায়ক নিরবের মতে, নানা কারণে বিরক্ত দর্শককে এখন হলমুখী করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে হবে, ঠিক কী কী কারণে দর্শকদের বেশিরভাগই প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবি দেখে না।
নিরব মনে করেন, তার নতুন ছবিটি দর্শককে প্রেক্ষাগৃহে ফেরানোর একটা উপলক্ষ হতে পারে। কারণ ছবিটিতে তেমনই রসদ আছে। যে কারণে এ নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে নিরবের ‘ভোলা তো যায় না তারে’। লম্বা বিরতির পর রূপালি পর্দায় হাজির হচ্ছেন জনপ্রিয় এই মডেল-অভিনেতা। নিরব জানান, উপন্যাসের পাতা থেকে বড়পর্দায় বেশ সফলভাবেই কাহিনী তুলে ধরেছেন রফিক শিকদার। এবার দর্শক গ্রহণ করলেই হয়।

undefined
ছবিটি সম্পর্কে নিরব বলেন, “একটা ছবি দর্শক গ্রহণ করলো কি-না সেটাই দেখার বিষয়। তবে মৌলিক গল্প সবসময়ই দর্শক দেখতে চান। এদিক দিয়ে ‘ভোলা তো যায় না তারে’ এগিয়ে। অন্যদিকে ছবিটির গান ও লোকেশন নির্বাচনেও যত্ন নেওয়া হয়েছে। মনে করেন, প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শক হতাশ। তারা যদি বলেন, ছবিতে কিচ্ছু নাই- আমার মনে হয়, এরপরও তারা এটা স্বীকার করবেন, ছবিতে কিন্তু একটা গল্প আছে! এই ছবির বড় যোগ্যতা এর কাহিনী। প্রেমের সুখ-দুঃখ ও সামাজিক বাস্তবতাকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছবিটিতে। কোমল হৃদয়ের দর্শক আমার এই প্রেমকাহিনী দেখে কেঁদেও ফেলতে পারেন। ”
‘ভোলা তো যায় না তারে’ ছবিতে নিরবের নায়িকা নবাগতা তানহা। নতুন এই জুটিকে ঘিরে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা। নিরব মনে করেন, তানহা পরিশ্রম করলে অনেকদূর যেতে পারেন। ছবিটিতে তিনি খুব সুন্দর অভিনয় করেছেন।

undefined
মুক্তির দিক দিয়ে এটি নিরবের ২৩ নম্বর ছবি। সবশেষ শাহনেওয়াজ কাকলীর ‘নদীজন’ ছবিতে দেখা গেছে তাকে। এটি গত রোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিলো। দীর্ঘদিন পর বড়পর্দায় ফেরার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দর্শকের তো আমাকে ভুলে যাওয়ার কথা! কিন্তু আমার বিশ্বাস, তারা এমনটা করবেন না। এ ছবির মাধ্যমে দর্শকের সঙ্গে নতুন করে সংযোগসেতু তৈরি হবে বলে মনে করি। ’
বোকাবাক্স ও বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় নাম নিরব। সুস্থধারার চলচ্চিত্রের জন্য লড়াই করছেন শুরু থেকে। জন্মদিনে নিজের প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তির আনন্দ পেয়েছিলেন তিনি। সেটা ২০০৯ সালের ২ জুলাইয়ের কথা। ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ নামের ছবিটি দারুণ ব্যবসাও করেছিলো।

undefined
এবার নিরবের মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবির তালিকা দেখে নেওয়া যাক- ‘রাঙামন’, ‘লাভ ইন কোরিয়া’, ‘টার্গেট- দেয়ার ইজ নো ক্লু’, ‘গেম রিটার্নস’, ‘মেয়ে কার’ প্রভৃতি। এর মধ্যে অধিকাংশের দৃশ্যধারণ শেষ। কিছু ছবির কাজ চলছে।
প্রথম ছবির বেলায় যেমন ছিলো, ২৩ নম্বরটি মুক্তির বেলায়ও আনন্দটা একই রকম। নিরবের মতে, এখনও বহুদূর পথ পাড়ি দিতে হবে। ক্লান্ত বা সন্তুষ্ট কোনোটাই হতে চান না তিনি। সময়ই বলুক, কোথায় জমবে নিরবতা। ততক্ষণ নিরবের সরব ছুটে চলা ক্ষিপ্র আর ব্যাঘ্রচিত্তে…
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৬
এসও/জেএইচ