দেশে পরিবারভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ, সাপ্লাই চেইনে বিঘ্ন এবং বিনিয়োগে অনীহা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) কার্যালয়ে ‘যেখানে পারিবারিক মূল্যবোধ ভবিষ্যতের দৃষ্টিকোণকে মিলিত করে: টেকসই উত্তরাধিকারের কৌশল’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারটি এমসিসিআই, সিঙ্গাপুরভিত্তিক আইন সংস্থা রাজাহ অ্যান্ড ট্যান সিঙ্গাপুর এলএলপি এবং এএজেড অ্যান্ড পার্টনার্স যৌথভাবে আয়োজন করে।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান বলেন, উত্তরাধিকার কেবল দায়িত্ব হস্তান্তর নয়, এটি একটি কৌশলগত প্রক্রিয়া। সুপরিকল্পিত উত্তরাধিকার ব্যবস্থা পরিবার ও ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখে, স্থিতিশীলতা আনে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ায়। কিন্তু প্রায়ই এটি বিলম্বিত বা এড়ানো হয়। ফলস্বরূপ, পরিষ্কার কৌশলের অভাবে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
সেমিনারের আরেক বক্তা ও এমসিসিআই পরিচালক আনিস বলেন, উত্তরাধিকার একটি মানবিক যাত্রা, যেখানে শুধু সম্পদ নয়, স্বপ্ন, সংস্কৃতি ও উদ্দেশ্যও নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এটি শুধু সংকট মোকাবিলার জন্য সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না।
সেমিনারে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়িক পরিবেশের তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে কোম্পানি নিবন্ধনে প্রায় ৩০ দিন সময় লাগে, প্রয়োজন বহুমাত্রিক অনুমোদন এবং বিদেশি মালিকানায় কড়াকড়ি রয়েছে। বিপরীতে, সিঙ্গাপুরে নিবন্ধন মাত্র ১৪ দিনে সম্ভব, বিদেশি মালিকানায় কোনো বাধা নেই এবং ১০০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে দ্বৈত কর সনদ বিদ্যমান। এছাড়া বাংলাদেশে করপোরেট করের হার ২২ শতাংশ, যেখানে সিঙ্গাপুরে তা ১৭ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আনাস এ খান এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তপন চৌধুরী প্রমুখ।
জেডএ/এমজে
জেডএ/
