ঢাকা, শুক্রবার, ৩ আশ্বিন ১৪৩২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘ঝাঁঝে নয়, চোখে জল আসছে দাম শুনেই’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:১৫, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
‘ঝাঁঝে নয়, চোখে জল আসছে দাম শুনেই’ নিম্ন আয়ের মানুষেরা পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খাওয়ায় বিক্রিও কমে গেছে। ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: দিনাজপুরে গত এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫/১৬ টাকা। বাজারে গিয়ে ক্রেতারা বলছেন, ‘পেঁয়াজের ঝাঁঝে নয়, দাম শুনেই চোখে জল আসছে’।

আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত সরকার আমদানির খরচ বাড়ানোয় পেঁয়াজ আনছেন না তারা। ফলে আমদানি কমার প্রভাবে দাম বেড়েই চলেছে খুচরা ও পাইকারি বাজারে।

তবে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলেই মূল্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) শহরের বাহাদুর বাজার ও চকবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১৫-১৬ টাকা বেশি।

বন্যার পর গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। এর আগে আগস্ট মাসে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পরের তিনমাসে বাড়তে বাড়তে ডিসেম্বরের শুরুতে দাঁড়িয়েছিল দেশি পেঁয়াজে ৯০-৯৫ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজে দাম ৭০-৭৫ টাকা।

চকবাজারের ক্রেতা মুন্সি হোটেলের মালিক মো. বাহউদ্দিন মনু বাংলানিউজকে বলেন, ‘অসহনীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আমি হোটেলের জন্য প্রতিদিন আধমণ করে পেঁয়াজ কিনি। কিন্তু এখন বিপাকে পড়ে গেছি’।

আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলেই মূল্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে।  ছবি: বাংলানিউজ

আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলেই মূল্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ছবি: বাংলানিউজ

বাহাদুর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. মাচ্ছু বলেন, ‘আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা দিনের পণ্য দিনে বেচেই শেষ করি। পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দামে কিনি, তার চেয়ে সামান্য লাভে ছেড়ে দেই। আবার নিম্ন আয়ের মানুষেরা পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খাওয়ায় বিক্রিও কমে গেছে। তাই যতো দ্রুত দাম কমবে, আমাদের পুঁজি ততোই কম খাটাতে হবে’।

বাহাদুর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শম্ভুনাথ রায় বলেন, ‘সম্প্রতি ভারত সরকার আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করায় বাংলাদেশি আমদানিকারকরা আনছেন না। তবে মূল্য বাড়ার আগেই প্রচুর মজুদ করেন তারা। সেগুলো আড়তে থাকলেও বেশি মুনাফা হাতিয়ে নিতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসছি’।

তবে দুই এক সপ্তাহের মধ্যে চলতি মৌসুমের নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলেই মূল্য কমে যাবে বলে মনে করছেন দুই ব্যবসায়ী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।